নাটকের দল থিয়েটার ফ্যাক্টরী এবং তাদের প্রথম প্রযোজনা ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’। থিয়েটার ফ্যাক্টরী নতুন দিনের শিল্পভাবনায় জারিত হয়ে নতুন উদ্দীপনায় থিয়েটারের কাজ করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ২০১৭ এর ২০ অক্টোবর।


ঢাকার মন্চে মন্চস্থ হচ্ছে থিয়েটার ফ্যাক্টরীর প্রযোজিত প্রথম নাটক ‘ আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’।

নাট্য নির্দেশক ও অভিনয় শিল্পী আলোক বসুর নির্দেশনায় থিয়েটার ফ্যাক্টরীর কলাকুশলীদের অভিনীত ও নেপথ্যের প্রতিটি কর্মীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মন্চায়িত হচ্ছে এই নাটকটি।

মোহন রাকেশ (যিনি স্বল্পায়ূ মানুষ,যার রচনা সম্ভার আরও স্বল্পায়তনের এবং যিনি হিন্দিতে লিখেও একজন বিস্ময়কর নাট্যকার)এর রচিত একটি নাটক।

এই নাটকটি অনুবাদ করেছেন কলকাতার অংশুমান ভৌমিক।

এই নাটকে কবি তথা নাটককার কালিদাসকে মাঝখানে রেখে মোহন রাকেশ অনেক দিগন্ত খুলে দিয়েছেন।

আর কালিদাসের কাব্য মেঘদূতম্ -এর পঙ্তি থেকে তিনটি শব্দ ধার করে অনুবাদক অংশুমান ভৌমিক নাটকটির নাম দিয়েছেন আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে।

অলোক বসুর নির্দেশনায় অসাধারন একটি নাটক দেখার সুযোগ হয়েছে নাটকপ্রেমী ঢাকাবাসীর।

প্রকৃতি আর প্রেম কেমন হাত ধরাধরি করে চলে,প্রেম কিভাবে শিল্পসৃষ্টির রসদ জোগান দেয়,প্রেম কত আদরে-যতনে-অপেক্ষায়-উপেক্ষায় ধ্রুবতারার মতো জীবন আঙিনায় জেগে থাকে তা’ এই নাটকের প্রতিটি সংলাপ ও অভিনয়ে অনুভব করা যায়।

এই নাটকের চরিত্রগুলোতে মল্লিকা,অম্বিকা,কালিদাস,দন্তল,মাতুল,
নিক্ষেপ,বিলোম অনুস্বর,অনুনাসিক,প্রিয়ঙ্গমন্জুরী সহ সকল চরিত্র চরিত্রায়নে থিয়েটার ফ্যাক্টরীর অভিনয় শিল্পীরা সত্যিই মুন্সীয়ানার ছাপ রেখেছে।

নাটকটিতে অভিনয়ের পাশাপাশি আবহসংগীত প্রয়োগ অসাধারন।
মন্চ পরিকল্পনার পাশাপাশি সংগীত পরিকল্পনা,যন্ত্র সঙ্গীতের ব্যবহার নাটকের প্রতিটি সিক্যুয়েন্সে দর্শক হৃদয়কে ছুঁয়ে গেছে।
তবে আলোক পরিকল্পনা সুন্দর হলেও আলোকসম্পাতের ক্ষেত্রে কিছুটা খামতি চোখে পড়েছে।

তাবে ঢাকার মন্চে মন্চায়িত এই নাটকটির মাধ্যমে দেশের মন্চ নাটকে নতুন একটি পালক যুক্ত হয়েছে।যা’ নাটকের দর্শক,নাটক প্রেমী ও নাটক বোদ্ধাদেরকে আরো বেশী বেশী করে মন্চ নাটক দেখতে অনুপ্রানিত করবে।