গৃহস্থালিতে মানহীন বৈদ্যুতিক পণ্য


প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি জীবননাশক পণ্যে রূপ নিচ্ছে। গৃহস্থালির বৈদ্যুতিক জিনিসপত্রে স¤প্রতি ঘটে কয়েকটি হতাতহতের ঘটনা। গতকাল সোমবারও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনাটি ঘটে বরগুনার পাথরঘাটায়। এর আগে শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার (১৫) বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও কারো না কারো প্রাণহানী ঘটছে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে। এজন্য পণ্যের গুণগত মানকেই অনেকাংশে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে গত একবছরে রাজধানীতেই প্রায় ১৮০টি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। জীবনকে সহজ করতেই বিভিন্ন যুগে আবিষ্কার হয়েছে নানা ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এসব পণ্য ব্যবহার বাঁচাচ্ছে মানুষের সময়, কমে যাচ্ছে কায়িক পরিশ্রম। জনজীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন ব্যবহার হচ্ছে এ ধরনের পণ্য। বৈদ্যুতিক পাখা থেকে শুরু করে এসি ফ্রিজ সবই এখন ঘরে ঘরে। তবে স¤প্রতি নিত্যদিনের বৈদ্যুতিক বিস্ফোরণের কয়েকটি ঘটনায় এখন অনেকটাই ভীত এসব পণ্যের ক্রেতারা। আর এ ধরনের অনাকাক্সিখত ঘটনার জন্য পণ্যের মানকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এসব পণ্য ব্যবহারকারীদেরও ব্যবহারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াসির আরাফাত বলেন, সাধারণত বাজার থেকে পণ্যের মান আমরা ভালো পাই না। পণ্যের মান যাচাই করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটা অফিস করা দরকার।

এদিকে রাজধানীতে গত একবছরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে দুর্ঘটনার সংখ্যা ১৮০টি। এসব ঘটনা প্রতিকারে তদারকি থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ফায়ার সর্ভিস।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মহাপরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, এসিটা বেশি বিস্ফোরণ হয়। কারণটা হলো নি¤œমানের কমপ্রেসার, নি¤œমানের তামার তার কমপ্রেসারে ব্যবহারের কারণে এটা বেশি হচ্ছে।

এ মাসের শেষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে গঠন করা হচ্ছে ‘ইলেকট্রনিক্স সেফটি ফোরাম’। এ ফোরাম এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনামূলক কাজ করবে বলে জানা যায়।