ঢাকায় নামাজের সময় মুসল্লীদের উপর ৯৩ কিলোমিটার বেগে ঝড়, নিহত ৪!


রাজধানীর ওপর দিয়ে বয়ে গেলো কালবৈশাখী ঝড়। ইফতারির পর হঠাৎ ৯৩ কিলোমিটার বেগের এ ঝড়ে এ পর্যন্ত ৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তাঁবু ছিঁড়ে খুঁটির আঘাতে একজন নিহত এবং ২০ থেকে ২২ জন আহত হন। বাড্ডায় দেয়াল ধসে তিনজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভেঙে পড়েছে গাছের ডাল।

জৈষ্ঠ্য মাসে এমন আরও কালবৈশাখী মাঝে মধ্যে হানা দেবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- শফিকুল ইসলাম (৪৭), বুলবুল বিশ্বাস (২৮) ও তপন (২৭)।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, উত্তর বাড্ডায় প্রাণ সেন্টারের পাশে একটি দেয়াল ধসে তিনজন আহত হয়। এর মধ্যে ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও একজনকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তিনজনই নিহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

বায়তুল মোকাররমে হতাহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। নিহতের নাম শফিকুল ইসলাম। তার বাবার নাম মৃত জনাব আলী। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারি। পোস্তগোলায় থেকে তিনি টায়ার তৈরির কারখানায় কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এসআই বাচ্চু জানান, ইফতারের পরে নামাজ পড়ার জন্য মুসল্লিরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় ঝড়ের কবলে পড়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাসেল সিকদার জানান, সন্ধ্যার তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ে বায়তুল মোকারম মসজিদ প্রাঙ্গণের দক্ষিণ অংশে স্থাপিত অস্থায়ী তাঁবু ভেঙে পড়ে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঝড়ে কয়েক জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিটে ঢাকায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী বয়ে যায়। তবে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৯৩ কিলোমিটার, এটাই ছিল ঢাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ।

ঢাকায় নামাজের সময় মুসল্লীদের উপর ৯৩ কিলোমিটার বেগে ঝড়, নিহত ৪!