৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র হাজী মোঃ জামাল মোস্তফা


চারিদিকে আজ শুধু নির্বাচনী হাওয়া বইছে আর এরই মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড এর বর্তমান কমিশনার ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র হাজী জামাল মোস্তফা প্রতিক পেলেন ঠেলাগাড়ী।

বিকেল তখন সাড়ে তিনটা এলাকার সত্তরঊর্ধ্ব মুরুব্বীগন তার সাথে দেখা করে নির্বাচনী একটি মিছিল বাহির করে ধিরে ধিরে মিছিলটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। যা এমনটি আগে কখনো হয় নি। মিছিলে উপস্থিত অনেক মুরুব্বীর মুখ থেকে বলতে শোনাযায় জামাল মোস্তফাই যোগ্য, তিনিই পারবেন এলাকাটাকে আধুনিকায়ন করতে।

হাজী জামাল মোস্তাফা এলাকার সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি দেখে আবেগআপ্লুত হয়েজান। তিনি সর্ব প্রথমে মহান আল্লাহর দরবারে সুকরীয়া জানান, এবং তাকে মনোনীত করার জন্য দেশ নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাস জাতে অক্ষুন্ন থাকে উপস্থিত জনসমুদ্রে তিনি এই আশ্বাস দেন। তিনি আরো বলেন –

আমি মোঃ জামাল মোস্তফা। ১৯৯৪ সাল এবং ২০১৫ সালে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

জীবনের প্রায় সবটুকু সময় এলাকাবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবো।

মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ইচ্ছায় ঢাকা উত্তরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীকে সফলতার সাথে সেবা প্রদান করেছি। বর্তমান ৪নং ওয়ার্ড এর প্রশস্ত ও টেকশই রাস্তাগুলো পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে দিন-রাত সিটি করপোরেশন এবং এলাকায় পরিশ্রম করেছি। বর্তমানে ৪নং ওয়ার্ডে একটিও কাচা রাস্তা নেই, যেগুলো কাজ চলমান সেগুলো এক মাসের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন রাস্তা তৈরী হয়ে যাবে। অবকাঠামোগত ভাবে বিগত ৫ বছরের মতো উন্নয়ন ৪ নং ওয়ার্ড এ কখনও হয় নাই। রাত-দিন ২৪ ঘন্টা আপনাদের বিপদআপদকে নিজের বিপদ বলে মনে করেছি।এলাকায় মশার উপদ্রব ঠেকাতে বিশেষ ভুমিকা রেখেছি। ৪ নং ওয়ার্ড তুলনামূলক নিচু এলাকা হওয়ায় জলাবদ্ধতা অনেক পুরোনো সঙ্গি। আমি বিগত ৫ বছরে খাল উদ্ধারে সর্বোচ্চ সোচ্চার ছিলাম যা আপনারা বিভিন্ন প্রিন্ট ও টিভি মিডিয়ার মাধ্যমে অবগত হয়েছেন যার ফলে জলাবদ্ধতা অনেক কমে এসেছে। অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে আমি সম্পুর্ন এলাকা সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেছি। আমাকে স্বশরীরে বা ফোনে যে যখন অভিযোগ বা অনুরোধ করেছেন আমি সকল সমস্যা সমাধান করেছি।

বিভিন্ন সনদ, বিভিন্ন টিকা সেবা এর কাজ কখনও বিলম্বিত হয় নাই। এলাকাবাসী সকলেই অবগত আমার বাসা, আমার কমিশনার কার্যালয় আমার ব্যাক্তিগত ফ্যাক্টরি অফিসের দরজা সবার জন্য খোলা ছিলো এবং ভবিষ্যৎ এ থাকবে।

এলাকায় খেলার মাঠের খুবই স্বল্পতা, যে কয়টি মাঠ আছে আমার তত্ত্বাবধানে শিশুজোন সহ সংস্কারের ব্যাবস্থা হয়ে। এলাকার শিশুকিশোরদের আরও কিছু দেওয়ার আছে আমার।

এলাকার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তদারকির সাথে সরাসরি নিযুক্ত ছিলাম আছি থাকবো। সকল ধর্মের উপাসনালয় বিশেষ করে মসজিদ -মাদ্রাসা ও মন্দিরের উন্নয়নে সর্বদা সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলাম। এলাকার হাসপাতাল, কবরস্থান, সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান নিজের মনে করর কাজ করে গেছি সেই কৈশর কাল থেকে।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে হাজির করে বলতে পারি মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমি ৯০ দশক থেকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি, মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কারনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ষড়যন্ত্র এর স্বীকার আমাকে হতে হয়েছে।

আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘদিনের, আমি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর একনিষ্ঠ সৈনিক। ছাত্রজীবন থেকেই আমি ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত থেকে মানুষের সেবা করেছি। আশির দশক থেকেই আমি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। পরিবর্তে আমি কাফরুল থানা আওয়ামীলীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হই এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ইচ্ছায় এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছি। আমার রাজনৈতিক কর্মীরা বা আমি কখনই রাজনৈতিক পরিচয় ব্যাবহার করে অনৈতিক কোনকিছুর সাথে জড়িত হই নাই। বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় বহুবার আমি, আমার স্ত্রী, আমার সন্তান রাজনৈতিক হামলা মামলা এর স্বীকার হই ও কারাবন্দী হই। ওয়ান ইলেভেনের সময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখি হাই কমান্ড এর নির্দেশমালা অনুযায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাই। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য আক্রান্ত হওয়া থেকে বেচে যাই।

ঢাকা ১৫ আসনের মাননীয় সাংসদ মাননীয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার এর প্রতিটি নির্বাচনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ঝাপিয়ে পরি। এবং বারবার আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদারকে মহান জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করতে ভুমিকা রাখি।

আপনারা অবগত আছেন আমার স্ত্রী রোকেয়া জামাল ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদিকা, সে এলাকাবাসীর বিপদে আপদে সবসময় আপনাদের পাশে থাকে। রোকেয়া সমাজে সকল ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার চেষ্টা করে।

১৯৯৪ সালে যখন কমিশনার হিসেবে আসি তখন থেকেই সিটি কর্পোরেশন এর সেরা কমিশনার ও কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হই বিভিন্ন সময়।

এলাকাবাসী সহ আমাদের পরিচিতি রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ যারা লেখাটি পরেছেন আপনারা সবাই জানেন বিগত দিনগুলোতে আমার বিরুদ্ধে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এমতাবস্থায় আপনাদের দোয়া এবং ভালবাসা আমার একান্ত কাম্য। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ৪ নং ওয়ার্ড এর অপরিপূর্ণ কাজগুলো শেষ করে যেতে চাই। এজন্য এলাকাবাসী সহ সকল মুরুব্বি, বন্ধুগণ সহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষের দোয়া প্রার্থী।