ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করছে পাকিস্তান


ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমা বাজারের বিকাশ ও অবদান বাড়াতে এবং গ্রাহকদের স্বার্থ ও চাহিদার কথা পুনর্বিবেচনা করে পাকিস্তানে ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান (এসইসিপি)।

সম্প্রতি করাচিতে আর্থিক সেবা নিয়ন্ত্রক এই বিষয়ে স্টেকহোল্ডারের পরামর্শ এবং সুপারিশ জানতে একটি গোলটেবিল বৈঠক করেছে। বীমা শিল্পের বেশিরভাগ প্রতিনিধি, স্টেট ব্যাংকের কর্মকর্তা, ফেডারেল বীমা ব্যক্তিত্ব ও বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটির সদস্যরা গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারীরা বীমা শিল্পের মান বৃদ্ধির বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের উপর বক্তব্য প্রদান করেন। সুপারিশগুলির মধ্যে ব্যাংকের জন্য পারিশ্রমিক কাঠামো প্রস্তুতকরণ, গ্রাহকের পছন্দনুযায়ী পলিসি কেনার সুযোগ, স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের চাহিদা পূরণসহ ব্যাংকাস্যুরেন্স ও বিক্রয়কর্মী প্রশিক্ষণের ও নিয়োগের মানদণ্ড বিশ্লেষণ করা।

সে সময় অংশগ্রহণকারীদের বীমাখাতের জন্য ডিজিটালাইজেশন এবং দূরবর্তী শিক্ষা প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। এসইসিপি কর্মকর্তারা স্টেকহোল্ডারদেরকে যত দ্রুত তাদের প্রস্তাব লিখিত আকারে জমা দিতে অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, ব্যাংকাস্যুরেন্স হলো ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্য বিক্রি। ব্যাংকাস্যুরেন্স পদ্ধতিতে একটি কার্যকর বিকল্প চ্যানেল হিসেবে কাজ করে ব্যাংক। এতে বীমা কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম সংগ্রহে খরচ কম হয়। অন্যদিকে অতিরিক্ত কোন খরচ ছাড়াই ব্যাংক তার গ্রাহকদের বীমার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিতে পারে। তাছাড়া ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বেশি থাকায় গ্রাহকদেরও বীমা পলিসি কেনার প্রতি আকৃষ্ট হয়।

ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্য বিক্রি একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এশিয়ার দেশগুলোতেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ব্যাংকাস্যুরেন্স। বিশেষ করে লাইফ বীমা পলিসি বিক্রিতে এটি শীর্ষ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।

ব্যাংকাস্যুরেন্স’র ধারণার উদ্ভব হয় ১৯৮০ সালের দিকে ফ্রান্স ও স্পেনে। প্রায় ১৫ বছর আগে এশিয়ার বাজারে প্রবেশ করে ব্যাংকাস্যুরেন্স। তবে এখনও এর অগ্রগতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

http://insurancenewsbd.com/article/international/2027/ব্যাংকাস্যুরেন্স-চালু-করছে-পাকিস্তান