সময়ের দাবী দেশে আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।


ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই আবৃত্তি করলেও বাংলাদেশে সাংগঠনিক ভাবে আবৃত্তি চর্চার বিকাশ ঘটে গত শতাব্দীর আশির দশকে। বর্তমানে দেশজুড়ে ৩৮৪টি আবৃত্তি সংগঠনে সাত হাজারেরও বেশী সদস্য যুক্ত রয়েছে সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায়। অন্য দিকে ঢাকা মহানগরীতেই রয়েছে ৫৭ টি আবৃত্তি সংগঠন।যেখানে কাজ করছে আড়াই হাজারেরও বেশী আবৃত্তি কর্মী।

আবৃত্তি চর্চা বা প্রশিক্ষনের জন্য স্বতন্ত্র কোন কেন্দ্র বা মিলনায়তন না থাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবেই কারো বাসা বা কোন আবৃত্তি সংগঠনের অফিসে,নতুবা কোন খোলা জায়গা অথবা ধার করা কোন হল রুম এবং শিক্ষায়তনের বারান্দা বা কক্ষে আবৃত্তি চর্চা তথা মহড়া হয়ে থাকে।

ঢাকা শহরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নিজস্ব স্থানে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিভিন্ন সংগঠনের আবৃত্তির মহড়া হলেও আবৃত্তি চর্চার সুষ্ঠু বিকাশের জন্য নির্ধারিত কোন মিলনায়তন বা চর্চা কেন্দ্র এখনও দেশের কোথাও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ঢাকার শিল্পকলা একাডেমীতে আবৃত্তি,সংগীত,নৃত্যকলার জন্য একটি মিলনায়তন থাকলেও তা’ অত্যাধুনিক নয়। দেশের আবৃত্তি চর্চার এই সংকট দূর করা না গেলে শিল্প সাহিত্যের এই মাধ্যমটির বিকাশ ঘটবে না এবং দেশের আবৃত্তি শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। এই অবস্থায় দেশের আবৃত্তি শিল্পের বিকাশের জন্য আবৃত্তির যথাযথ প্রশিক্ষন,মহড়া এবং আবৃত্তির অনুষ্ঠান আয়োজনে অত্যাধুনিক মিলয়নায়তন স্থাপন সহ রাজধানী সহ সারা দেশে আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা জরুরী এবং বলা যায় রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ধরনের কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা আবৃত্তি শিল্পী ও এই শিল্পের সাথে জড়িত সংগঠন সহ সংশ্লিষ্টদের আবৃত্তি চর্চা ও এর বিকাশের জন্য সময়েরই দাবী।

আশা করি আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ও শিল্পকলা একাডেমী এ বিষয়ে যৌথ ভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবে।

* তথ্যসূত্রঃ দেশ রূপান্তর।
#
ইন্স্যুরেন্সটাইমসবিডি ডট কম নিউজ ডেক্স।