সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ


ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিমা খাতের কোম্পানি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ৬৬ লাখ ১১ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ৩৮ কোটি ৩০ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বা তিন টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৬ টাকা। দিনজুড়ে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬৭টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৩৩৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি ৬০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৬৯ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬২ পয়সা। এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭৭ পয়সা ও এনএভি ১৯ টাকা ২৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে পাঁচ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা তার আগের বছর ছিল পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৩৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২১ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার ৯৫০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক ছয় শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৯ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২১ দশমিক ৬৯ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৮ দশমিক ৭৫।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ছয় কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৯ লাখ চার হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ১৬ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৮২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৮১ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৬৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৮২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৭০৫টি শেয়ার মোট চার হাজার ২১০ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর গত এক বছরে শেয়ারদর ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৪৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
সম্প্রতি সিরামকি খাতের এ কোম্পানিটির ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ওয়াসো ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড (ডব্লিউসিআরসিএল)। কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ৩’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি৩’। ২০১৮ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৯১ টাকা ৪৬ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে পাঁচ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
এর আগে ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা এবং এনএভি ৯৪ টাকা ৩২ পয়সা। এটি তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৯ পয়সা ও ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩২ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৯৭ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৪৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক আট দশমিক ৫৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৮৫ দশমিক ৯৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২১ দশমিক ৯।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড। ফান্ডটির ইউনিটদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ফান্ডটির প্রতিদিন এক কোটি ৫৫ লাখ ৬৫ হাজার ২০০ টাকার ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে হয়েছে সাত কোটি ৭৮ লাখ ২৬ হাজার টাকার ইউনিট। তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি দুটির শেয়ারদর বেড়েছে যথাক্রমে ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও ১৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে থাকা কোম্পানিগুলো হলো পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড।

সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ